Header Ads Widget

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 28, 2024 | 3/28/2024 09:08:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। সারাদিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতারের টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন?
আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা আর হয়ে উঠে না। কারণ, ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্তি লাগতে শুরু করে। সারাদিন উপবাসের পর একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না চলুন জেনে নিই।
পানিশূন্যতা দূর করুন : সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না।
ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না : ইফতারে এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারাদিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে।
তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পরপর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।
নামাজ পড়ে নিন : ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।
চা কিংবা কফি : রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন।
কারণ, এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন : ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।

২২ বছর পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিসনধি : ২২ বছর আত্মগোপনে পালিয়ে থাকার পরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন (৫২) নামে এক পলাতক আসামিকে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে খানসামা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়ার আমিজ উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খানসামা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২২ বছর যাবৎ ছদ্মবেশে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার আড়ালে আত্মগোপনে থেকেছেন তসলিম উদ্দিন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় খানসামা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে বলে পুলিশ জানায়। খানসামা থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক একটি এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন।
তসলিম খামারপাড়া ইউনিয়নের ৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজার ছিলেন ও তারই অধীনে ভিকটিম বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে নিয়োগকৃত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই কর্মসূচির আওতায় চাকরিরত থাকার সুবাধে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার তসলিম ও ভুক্তভোগীর নিয়মিত যোগাযোগের সুবাধে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার আসামি ছিল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। এসময় ভিকটিম আসামীর বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল।
ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগে তসলিম ভুক্তভোগীকে নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ভিকটিমের অসম্মতি থাকায় সে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নাম করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি তসলিমকে জানালে সে অস্বীকার করে ও গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তাতে সম্মত না হয়ে তসলিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তসলিম নিজেকে বিবাহিত দাবি করে ও ভিকটিমকে বিয়ে করা অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা ভিকটিম বাধ্য হয়ে বিষয়টি তসলিমের পরিবারকে জানালে তসলিম সম্মানহানির প্রতিশোধ নিতে প্রতারণা করে ভিকটিমকে তার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এসময় ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মানসম্মান এবং গর্ভের সন্তান হারিয়ে অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং বিয়ের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি এসময় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। তখন তসলিম পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় একটি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বাধ্য হয়ে তসলিমের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণসহ ভ্রূণ নষ্ট করার অপরাধে পেনাল কোডের ৩১৩ ধারায় দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন। এমনকি গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করেন। প্রথম ২ বছর তিনি ঢাকায় ডেলিভারি ম্যান, এরপর ৩ বছর সিলেটে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় ফেরত এসে তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশ্যে গাজীপুরে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে, কখনো এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।
মাঠকর্মী থাকার সময় গাজীপুরের শ্রীপুর এবং কাশিমপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নামে বেনামে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় সে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী তসলিম ২২ বছর পলাতক ছিলেন। র‌্যাবের সহায়তায় তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিরামপুরে বিএসটিআই অনুমোদনহীন জুসসহ ২ জন আটক

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি : বিরামপুরে গ্রামের হাট বাজারের দোকানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন জুস জাতীয় তরল পানীয় (ড্রিংকু,ফ্রুটি,আমরো) ও ডেইরি মিল্ক বিপণনের অভিযোগে ২ জনকে ১শত টাকা করে জরিমানা ও উভয়কে ১ মাস করে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুরাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় বিরামপুর ইসলামী ব্যাংকের পশ্চীম পার্শ্বে নাবিল বাস কাউন্টারের পিছনে একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন পন্যসমূহ ও এর সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা প্রদান করা হয়।
আটককৃত দুজন হলেন দিওড় ইউনিয়নের ব্যাপারিটোলা নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন এবং সুরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে গৌতম কুমার।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য ভেজাল এরকম কোন পণ্য বাজারজাত বা বিক্রয় যেন না হয় নজরদারি হিসেবে আমাদের এই অভিযান চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন মহোদয়ের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে জুস জাতীয় তরল পানীয় ও ডেইরি মিল্ক জব্দ করেছি এবং এর সাথে জড়িত দুজনকে আমরা আটক করেছি। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
জব্দকৃত জুস জাতীয় তরল পানীয় ও চকলেট জাতীয় ডেইরি মিল্ক সমূহ বিরামপুর উপজেলার ৭ নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর পাশে বাজেয়াপ্ত করা হয়।এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে বিরামপুর থানা পুলিশ।

পীরগঞ্জে বিনামূল্যে ৫ হাজার কৃষককের মাঝে সারবীজ বিতরণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 27, 2024 | 3/27/2024 09:16:00 PM

শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়।
আজ বুধবার পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে ৫ হাজার কৃষক সারবীজ পেয়ে বেশ খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপসী আউস প্রণোদনা হিসেবে প্রতি কৃষককে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কালে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রমিজ আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লায়লা আরজুমান বেগম, ডিএন ডিগ্রি কলেজ উপাধ্যক্ষ ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল ইসলাম, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, আবুল হাসানাত, বিষ্ণুপদ রায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে পঙ্কজ কুমার, আব্দুর রহিম, মোফাজ্জল হক, কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বিরামপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 26, 2024 | 3/26/2024 11:52:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি এবং সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭ টায় শহীদ স্মৃতিফলকে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর সকাল ৯ টায় বিরামপুর আনছার মাঠে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে বিরামপুর থানা পুলিশ, ফায়ার সিভিল সার্ভিস, আনছার বাহিনী এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সূধীবৃন্দ, সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাংবাদিকবৃন্দের হাঁড়ি ভাঙ্গা,টার্গেটিংসহ নানান ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়।বেলা ১ টায় পুরস্কার বিতরণী,হাসপাতালে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয়।এরপর বিকেল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আক্কাস আলী, বিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মেজবাউল ইসলাম মন্ডল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু,সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুরাদ হোসেন,বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার,উপজেলা কৃষি অফিসার কাওছার হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল চক্রবর্তী, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররাত জাহান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী, বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হক , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বাবু শ্রীবাস কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার সহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শহীদ জায়ারা দিনাতিপাত করছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে

মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও : দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদ জায়াদের খবর রাখেনি কেউ। বৃদ্ধ বয়সে তারা আজও কাজ করে চলেছেন জীবীকার তাগিদে। কেউ করছেন অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ আবার কেউ দিনাতিপাত করছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে। থাকছেন ভাঙ্গা বাড়িতে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না অনেকে। মানবেতর জীবন যাপনের এমন চিত্রের দেখা মেলে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের বেঁচে থাকা অর্ধশত শহীদ জায়াদের পরিবারে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ৪ হাজার শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। ৪২ টি স্থানে গণহত্যা সংঘঠিত হলেও উল্লেখযোগ্য সদরের জাঠিভাঙ্গা। যেখানে একই স্থানে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। সেই সময় মাইকিং করে ভারতে পাঠানোর কথা বলে নিরীহ বাঙ্গালিদের শুকানপুকুরি ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা এলাকায় পাথরাজ নদীর তীরে একত্রিত করে রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। পরে নারী ও শিশুদের চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুরুষ ও যুবকদের। দেশ স্বাধীনের পরে স্বামী হারানো জায়ারা বাবা হারানো শিশুদের নিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চকহলদি ও জগন্নাথপুর এলাকায় অর্ধশত শহীদ জায়া এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সে সংগ্রাম। র্দীঘদিনেও তাদের সরকারি ভাবে সহায়তা না করায় হতাশ তারা। ঠাকুরগাঁওয়ের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ট্রাস্টের গবেষক ফারজানা হক বলেন, ঠাকুরগাঁও সদরের চকহলদী এলাকায় বিধবা পল্লীতে জাঠিভাঙ্গা গণহত্যায় শহীদদের প্রায় ৫০ জন বিধবা এখনও বেঁচে আছেন, তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্বাধীনতার ৫ দশক পড়ে এসেও এই বিধবারা কোথাও সরকারি বা বেসরকারি কোন সহায়তা পাননি তা ভাবতেই অবাক লাগে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে শহীদ জায়াদের জন্যে যেসব প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তার বাস্তবায়ন আদও হয়নি এখানে। জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান জানান, আমাদের এসব তথ্য জানা ছিলনা। দেশের জন্যে যারা জীবন দিয়েছে তাদের জায়াদের এমন অবস্থা সত্যিই মেনে নেওয়ার মত না। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত সহযোগীতার ব্যবস্থা করছি এবং শহীদ বিধবাদের জন্য সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির উদ্বোধন

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খোলা বাজারে ভ্রাম্যমান ভাবে সুলভ মুল্যে প্রানিজ আমিষ " দুধ ও ডিম " বিক্রির কার্যক্রমের ও খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। 
ডিমের ডজন ১ শত ও দুধ কেজি ৫০ টাকা দরে উপজেলা প্রানী সম্পদ ও ভোটেরিনারি হাসপাতালে এর উদ্যোগে ও উপজেলার ডি এন আর ডেইরী ফার্ম,তামিম ডেইরী ফার্ম,মের্সাস রিপন ট্রেডার্স এর সহযোগীতায় খোলা বাজারে সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুন আর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম রফিকুল ইসলাম রিপন,আনোয়ারা বেগম,সহকারি কমিশনার মাহমাদুল হাসান,অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইরী এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সভাপতি ফজলুল হক দুদু, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, খামারী সৈয়দ দিন মোহাম্মাদ ডন, শাহারুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য খামারীরা৷ এরআগে প্রানী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগীতায় প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি) খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করা হয়৷ অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।