1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের বিরুদ্ধে নীরব জার্মানি

৮ জুলাই ২০২০

জার্মানির ওপর চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নেয়ার চাপ বাড়ছে৷ কিন্তু ম্যার্কেল সরকারের নীরবতা ভাঙার কোনো লক্ষণ নেই৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থাও তথৈবচ৷

https://p.dw.com/p/3eyuj
জার্মানির ওপর চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নেয়ার চাপ বাড়ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. von Jutrczenka

দেড় দশক ধরে আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর৷ এ সময়ে ১২বার বেইজিং সফর করেছেন তিনি৷ তাঁর নেতৃত্বে দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে৷ ২০১৯ সালে দু হাজার ৬০০ কোটি ইউরোর বাণিজ্য হয়েছে দু দেশের মধ্যে৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এখন চীন৷ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে গেছে দেশটি৷ এক্ষেত্রে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র৷ 

অন্যদিকে চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন বাড়ছে৷ উইগুর ইস্যু অনেকদিন ধরেই চীনের অস্বস্তির কারণ৷ সম্প্রতি সঙ্গে যোগ হয়েছে হংকংয়ে কার্যকর করা জাতীয় নিরাপত্তা আইন৷ এসবের বিরুদ্ধে জার্মানির কঠোর অবস্থানের দাবি তুলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ জার্মানির রাজনীতিবিদরাও তুলছেন একই দাবি৷ কিন্তু জার্মানি একেবারে নীরব৷ কারণ এবং জার্মানির প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গিই যেন তুলে ধরেছেন জার্মান শিল্পপতি, সিমেন্সের প্রধান জো কায়জার৷ গত সেপ্টেম্বরে ম্যার্কেলের বেইজিং সফর সম্পর্কে তিনি জার্মান ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘ভান্ডেল ডুর্শ হান্ডেল’’, অর্থাৎ ‘‘বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন’’৷ এভাবে দু দেশের সম্পর্কে বাণিজ্য যে বিপুল প্রভাব ফেলছে তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পর সিমেন্স প্রধান আরো বলেছিলেন, চীনের প্রতি জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গি ‘সুচিন্তিতি এবং সম্মানজনক’ হতে হবে৷ সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সব ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছিলেন তিনি৷

হংকংয়ে হতাশা

হংকং প্রশ্নে জার্মানির কৌশলী অবস্থানের সমালোচনা করছেন অনেকেই৷ এ নিয়ে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরাও হতাশ৷ জার্মান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স (ডিজিএ)-র গবেষক ডিডি টাটলো ডয়চে ভেলেকে বলেন, গত কয়েকমাসে হংকং প্রশ্নে জার্মানির নীরবতা হংকংয়ের মানুষকে হতাশ করেছে, ‘‘দেখা গেছে জার্মানি প্রকাশ্যে কিছু বলছে না আর চীনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়াগুলোও হচ্ছে দুর্বল৷ আমার মনে হয়, হংকংয়ের মানুষ যেহেতু যথেষ্ট বুদ্ধিমান, তাই তারা নিশ্চয়ই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷ তারা জার্মানি যে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না সেটা ঠিকই বুঝতে পারছে৷’’ 

ইউরোপে চীনের প্রভাব

জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে চীন৷ চীনের বিশাল অঙ্কের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইটালি৷ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোও এশিয়ার জায়ান্টদের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে৷

সেপ্টেম্বরে জার্মানির লাইপসিশ শহরে ইইউ-চীন সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল৷ করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন স্থগিতে হলেও পুরোপুরি বাতিল হয়নি৷

অর্থনৈতিক অবরোধের দাবি এবং বিরোধিতা

মানবাধিকার প্রশ্নে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার দাবি জোরদার হলেও জার্মানি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ 

জার্মানির সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিডির নেতা এবং ইউরোপীয় সংসদের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলৎস মনে করেন জার্মানি এবং ইইউর উচিত চীনের সকল পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা৷ তবে জার্মানির ডানপন্থি দল এফডিপির নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার মনে করেন বাণিজ্যকে অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না৷

কেড ব্র্যাডি/ এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান