রোহিঙ্গা: উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে ছয় শিশুর মৃত্যু

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

উখিয়ার যে এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির অবস্থিত সেখানে দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে (ফাইল চিত্র)

বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পাহাড় ধসে অন্তত পাঁচজন মারা গেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের সবাই শিশু।

পুলিশ বলছে, উখিয়া উপজেলার বালুখালি ১০ নম্বর শিবিরে এই ঘটনা ঘটে।

একই শিবিরে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও একটি শিশুর।

গত দু'দিন ধরে সেখানে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

অতিবৃষ্টির কারণেই এই পাহাড় ধসের সূত্রপাত বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা।

ভিডিওর ক্যাপশান,

কিভাবে হারিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুদের শৈশব?

তিনি বলেন, পাহাড় ধসে আরও কিছু মানুষ আহত হয়েছে। তবে তাদের বর্তমান অবস্থা ও সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

বিকেল নাগাদ সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছিল।

ওই এলাকায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে।

উখিয়া-টেকনাফ সড়কের পাশে বালুখালি এলাকায় রাস্তার পাশে সারি সারি পাহাড় রয়েছে।

ওইসব পাহাড়েই গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির।

পাহাড়ের গায়ে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরে কয়েক বছর ধরে এখানে বসবাস করছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই কক্সবাজারের নানা ক্যাম্পে বসবাস করে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করা হলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

তবে কক্সবাজার থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রে সম্প্রতি স্থানান্তর করা হয়েছে।