কোভিড: করোনা ভাইরাসে একদিনে মৃত্যু আরও ৭৬ জনের, সর্বোচ্চ মৃত্যু আবারও খুলনা বিভাগে

করোনাভাইরাস

ছবির উৎস, Getty Images

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৭৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ১৩ হাজার ৭০২ জন মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, একদিনে মোট মৃত্যুর বিভাগ-ওয়ারী হিসাবে সংখ্যার দিক থেকে আবারও শীর্ষে রয়েছে খুলনা।

এই বিভাগের জেলাগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৭ জন।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে সারা দেশে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছিল - সেদিনও বিভাগ-ওয়ারী হিসাবে খুলনায় সর্বোচ্চ ৩২জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে আরও দেখা যাচ্ছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ঢাকা এবং রাজশাহী উভয় বিভাগে ১৪ জন করে মানুষ মারা গেছেন।

এছাড়া চট্টগ্রামে ১০ জন, রংপুরে ছয় জন, সিলেটে তিন জন এবং বরিশাল বিভাগে দুই জন মারা গেছেন।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৪২ জন, আর নারী ৩৪ জন। এর মধ্যে ষাটোর্ধ ছিলেন ৩৭ জন, ৫১-৬০ বছরের ২৩ জন, ৪১-৫০ বছরের সাত জন, ৩১-৪০ বছরের আট জন এবং ২১-৩০ বছরের একজন ছিলেন।

বিবিসি বাংলায় আর পড়তে পারেন:

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাইরাসে আক্রান্ত চার হাজার ৮৪৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

ফলে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ৬১ হাজার ১৫০জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসেবে, একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭২ জনই মারা গেছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি চারজন বাড়িতে মারা গেছেন।

এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৫২৮টি পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর মধ্যে মোট ১২৬টি পরীক্ষাগারে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমান মানুষ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান, নমুনা পরীক্ষা করাতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমান মানুষ

এছাড়া ৩৫৬টি সরকারি ল্যাবে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং ৪৩টি পরীক্ষাগারে জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষা করা চলছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,৯০৩ জন, ফলে এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন।

বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: