কোভিড: সাত জেলায় বিশেষ লকডাউন শুরু, বন্ধ ঢাকাগামী যানবাহন

দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে যে লকডাউন দেয়া হয়, তার শুরুতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা থাকলেও পরে কার্যত এই ব্যবস্থাটি ভেঙ্গে পড়ে।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে যে লকডাউন দেয়া হয়, তার শুরুতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা থাকলেও পরে কার্যত এই ব্যবস্থাটি ভেঙ্গে পড়ে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন শুরু হয়েছে ভোর ছয়টা থেকে।

তবে সকালেও দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকার গাবতলী টার্মিনালে এসে পৌঁছেছে। যদিও গাবতলী সহ ঢাকার সব টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার এবং ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।

জেলাগুলো হচ্ছে: মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।

আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ত্রিশে জুন পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বাংলাদেশে 'লকডাউন' কার্যকর করতে পারেনি সরকার

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

বাংলাদেশে 'লকডাউন' কার্যকর করতে পারেনি সরকার

এ সময় ঢাকা থেকে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে এমনকি ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে ট্রেন থামবে না।

ঢাকার কয়েকটি প্রবেশমুখে, বিশেষ করে ফেরিঘাটগুলোতে সকাল নাগাদ যান ও যাত্রী ছিলো খুবই কম।

তবে রাতে যেসব যানবাহন পৌঁছেছে তাদের সকাল নাগাদ ফেরির মাধ্যমে পার হতে দেখা গেছে।

ফেরিঘাট কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে ঢাকামুখী যান পারাপার বন্ধ আছে এবং অপেক্ষমাণ যানগুলো পারাপার হয়ে গেলে সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

ওদিকে আশেপাশের জেলাগুলো থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিশেষ করে শিল্প শ্রমিকরা সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে দুর্গতিতে পড়েছেন।

বিশেষ করে গাজীপুরে স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহন খুব একটা দেখা যায়নি। তবে জেলার ওপর দিয়ে সকালেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে

তবে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে যে 'লকডাউন' দেয়া হয়েছিল সেটি প্রায় দুই মাস চলেছে নানা বিধি-নিষেধের আওতায়।

এরপর করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে বিবেচনায় নিয়ে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ঘরের বাইরে যাওয়ার ওপর নানা বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিলো।

এরপর থেকে দফায় দফায় বিধিনিষেধ বাড়লেও পরে এক পর্যায়ে দোকানপাট ও যান চলাচল খুলে দেয়া হয়েছিলো।

এর মধ্যে সীমান্তবর্তী নানা জায়গায় সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন দেয়া হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ঘিরে থাকা জেলাগুলোতে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।